বৃটিশ ভারতীয় বাংলা প্রদেশে এক ঐতিহাসিক প্রয়াজনে এটি গড়ে উঠে। যার অবস্থান আত্রাই নদীর পাশে। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে বাংলায় দেখা দেয় এক এক ভয়াবহ বন্যা। তখন বাংলায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান মহাত্মা গান্ধী, আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় প্রমুখ। তাঁরা এই এলাকার জমিদার, ব্যবসায়ী ধনাট্য ব্যক্তিদের অনুদানে আত্রাই ঘাট রেলওয়ে ষ্টেশনের পূর্ব পাশে গড়ে তোলেন ‘’বঙ্গীয় রিলিফ কমিটি’’ নামক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান।
বন্যা পরবর্তী স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য মহাত্মা গান্ধীর নির্দেশে কলককাতা মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র ডা: নীরেন দত্ত চালু করেন একটি চিকিৎসা কেন্দ্র।
পরবর্তীতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পতিসর যাবার পথে মাঝে মাঝে এখানে বিশ্রাম নিতেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ভারতের বিশিষ্ট লেখর, সাহিত্যিক ও আইসিএস কর্মকর্তা নওগাঁর এসডিএ অন্নদা শঙ্কর রায় বহুবার এসেছেন এই প্রতিষ্ঠানে।
বর্তমানে এখানে রেশম চাষ, মৎস্য চাষ, বৃক্ষরোপন ও চিকিৎসা কেন্দ্র চালু থাকলেও সুষ্ঠু ব্যব্ষাপনা ও পৃষ্ঠপোকতার অভাবে প্রতিষ্ঠানটির তার সুদীর্ঘ এতিহ্য হারাতে বসেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস